বাংলা ভূতের গল্প : গ্রামের নাম ছিল শ্যামলপুর । এই গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে, ঘন বট-অশ্বথ্থের জঙ্গলের গভীরে, এক অদৃশ্য আতঙ্কের মতো দাঁড়িয়ে ছিল একটি পোড়ো দোতলা বাড়ি । কেউ জানে না কে বানিয়েছিল এই বাড়ি । তবে লোকমুখে শোনা যেত—প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে নাকি এখানে এক তরুণীকে ‘ডাইনী’ সন্দেহে পুড়িয়ে মারা হয় । তারপর থেকেই নাকি এই পোড়ো বাড়িটা অভিশপ্ত । রাত হলে নাকি সেই বাড়ির জানালা দিয়ে নীল আলোর ঝিলিক, মেয়েলি হাসির শব্দ, আর কখনও কখনও কান্নার সুর ভেসে আসে । গ্রামের লোকেরা বলত, মেয়েটির নাম ছিল নিশি, আর সে মরলেও তার আত্মা শান্তি পায়নি—তার আত্মা এখনো রাগ, অভিমান আর প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে ।
গৌরব আর ডাইনী
গৌরব ছিল সেই গ্রামেরই কৌতূহলী, সাহসী তেরো বছরের এক কিশোর । সে পড়াশোনায় ভালো, বিজ্ঞানের বই পড়ত, ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করত না । কিন্তু তার দাদু, যিনি গ্রামের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ, তাকে গল্প বলতে গিয়ে সেই বাড়িটা সম্পর্কে বারবার সতর্ক করতেন : “ওই বাড়িটা নিশির ঘর । সে ডাইনী ছিল না, কিন্তু মানুষের নিষ্ঠুরতায় ডাইনী হয়ে গেছে মৃত্যুর পর । তার ক্ষোভ এত গভীর যে সে কোনও শিশুকে কাছে পেলে ছাড়ে না ।”
কৌতূহলই সাহসকে উসকে দেয়
কিন্তু ভয়ের গল্প আর কৌতূ্হলই তো সাহসকে উসকে দেয় । এক শনিবার বিকেল, স্কুলের ছুটি, গৌরব আর তার তিন বন্ধু—হিম্মতওয়ালা কিন্তু ভীতু রনি, ধূর্ত তানিয়া আর অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ সুমি—মিলে চুপিচুপি পরিকল্পনা করল । তারা রাত নটার পর বাড়িটায় যাবে, ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলবে, রেকর্ড করবে, প্রমাণ করবে যে সেই বাড়ির গল্প আসলে সবই মনগড়া কাহিনী ।
সন্ধ্যা নামতেই গোটা গ্রাম যেন অন্য রূপ নিলো । কুয়াশা নামলো জঙ্গলের পথে । ব্যাঙের ডাকের ফাঁকে ফাঁকে যেন শোনা যায় কারো ফিসফিসানি । চার বন্ধু টর্চ নিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল । গৌরবের বুকেও ধুকধুকানি ছিল, কিন্তু সে মুখে সাহস দেখালো । রনির হাত কাঁপছিল, তানিয়া ঠোঁট কামড়ে ছিল, আর সুমি গৌরবের জামার আঁচল শক্ত করে ধরে ছিল ।
অবশেষে তারা এসে দাড়ালো বাড়িটা সামনে । বাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে যেন এক বৃদ্ধা ভূতের মতো—খোলা জানালাগুলো তার চোখ, ভাঙা বারান্দা যেন তার হাঁ-করা মুখ । সামনের দরজা তালাবন্ধ, কিন্তু পেছনের রান্নাঘরের একটা কাঠের শিক ভেঙে ফাঁক ছিল । ঠাণ্ডা হাওয়া বের হচ্ছিল ভিতর থেকে, যেন বাড়িটা নিশ্বাস নিচ্ছে ।
“এখনও ফিরে আসার সময় আছে,” সুমি বলল কাঁপা গলায় ।
“না,” গৌরব দৃঢ়ভাবে বলল, “আজ আমরা সত্যিটা জানবো তারপরে যাবো ।”
নিশির ঘর
ভিতরে ঢুকতেই এক দুর্গন্ধ নাকে আছড়ে পড়লো —পুরনো মাটির গন্ধ, পচা কাঠ, আর… কোনও পুড়ে যাওয়া জিনিসের গন্ধ । টর্চের আলোয় দেখা গেল, দেয়ালে পুরনো সব ছবি আঁটা । কিন্তু সবকটাতেই মুখ কেটে দেওয়া । মাঝের ঘরে একটা বেঞ্চ, তার ওপর একটুকরো আয়না, যার একপাশটা ভাঙা । সবকিছুতে ধুলোর মোটা আস্তরণ ।
হঠাৎ, ওপর তলা থেকে একটা শব্দ এল—টিক… টিক… টিক… যেন কেঁদো কোন ঘড়ির কাঁটা চলছে । কিন্তু সবাই জানতো, ওই বাড়িতে কখনও কোন ঘড়ি ছিল না ।
তারা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলো । প্রতিটি ধাপে শব্দ হচ্ছিল বিকট, যেন কাঠগুলো আর্তনাদ করছে । উপরের তলায় একটা বড় ঘর, তার মাঝখানে একটা খাট, আর খাটের পাশে একটা সিন্দুক । জানালাটা খোলা ছিল, আর তাতে লাগানো ছিল একটা ভাঙা ঘুঙুর, যা বাতাসে ধীরে ধীরে দুলছিল… কিন্তু বাতাস তো ঘরের ভিতরে ছিল না !
“চলো, এখান থেকে চলে যাই,” রনি বলতেই, হুশ করে করে জানালাটা নিজে থেকে ভীষণ জোরে বন্ধ হয়ে গেল ! সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজাটাও শব্দ করে বন্ধ হয়ে গেলো । টর্চের আলো নিভে গেল । না, শুধু নিভেনি, যেন অন্ধকারে তার আলো শুষে নেওয়া হলো ।
আতঙ্কে তারা দরজার দিকে ছুটলো । কিন্তু দরজা পাথরের মতো অচল । হাতড়িয়ে দেখতে গিয়ে গৌরবের হাত লাগল কিসের… ভিজে, ঠাণ্ডা, লম্বা চুলের মতো কিছু একটা ! সে সজোরে হাত টেনে নিয়ে ছিটকে পিছনে চলে এলো ।
নিশির সঙ্গে দেখা
তারপরই, ঘরের এক কোণ থেকে একটা আলো জ্বলে উঠলো । নীল, ঠাণ্ডা আলো । সেই আলোয় দেখা গেল, খাটের ওপর একটা ছায়া যেন ধীরে ধীরে গাঢ় হচ্ছে । আকার নিচ্ছিল এক মেয়ের । তার পরনে সাদা সালোয়ার-কামিজ, কিন্তু পোড়া, ছেঁড়া । মুখটা প্রথমে অস্পষ্ট, তারপর ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে লাগল—সাদা চামড়া, কালো গর্তের মতো চোখ, আর ঠোঁটজোড়া একদম কাটা, যেন সে কখনো হাসতে না পারে, শুধু চিৎকার করতে পারে ।
“অনেকদিন পর… কেউ এল…” আওয়াজটা যেন এলো সরাসরি মাথার ভিতর, কানে নয় । গলার স্বর নয়, যেন বরফের সূচ মাথায় ফুটছে ।
তারা চিৎকার করতে চাইলো, কিন্তু গলা শুকিয়ে গেছে, গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোলো না । পা পিছল মেঝের সঙ্গে যেন আটকে গেছে ।
ছায়াটা, মানে নিশি, খাট থেকে নামল না, কিন্তু বাতাসে ভেসে তাদের দিকে এগিয়ে এলো । “আমাকে ডাইনী বলতো… আমাকে আগুনে পুড়িয়েছে… আর এখন আমি যা চাই, তাই করতে পারি । তোমরা আমার প্রথম শিশু অতিথি… তোমাদের নিয়ে আমার খেলা হবে ।”
ঘরের তাপমাত্রা হিমশীতল হয়ে গেলো । শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো । নিশির দিকে তাকালে মনে হচ্ছিল, তার খালি চোখের গর্তে শুধু একটা অসীম ক্ষুধা—ক্ষুধা প্রতিশোধের ।
“আমাদের যেতে দাও !” তানিয়া চিৎকার করলো ।
নিশি হাসল—ভয়ঙ্কর, নিঃশব্দ, রক্তজল করা হাসি । “তোমাদের কাউকে ছাড়ব না । তোমাদের নিঃশ্বাসের উত্তাপ, তোমাদের ভয়ের শক্তিতে… এতদিন পর আমি আবার শক্তি পাবো ।”
ঘরটা কাঁপতে শুরু করলো । দেওয়াল থেকে রক্তের মতো লাল জল নীচে পড়তে লাগলো । সেই জলে শব্দ হচ্ছিল ফোঁটার : “থপ… থপ… থপ…”
নিশির গল্প
সুমি কাঁদতে শুরু করলো । রনি মুখ লুকিয়ে ফেললো । গৌরবও ভয় পেয়েছিলো, কিন্তু তার মাথায় একটা চিন্তা খেলে গেল—দাদু বলেছিলেন, নিশি আসলে ভালোই ছিলো । সে ডাইনী ছিল না, মানুষই তাকে ডাইনী বানিয়েছে । তার এই ক্রোধের আড়ালে লুকিয়ে আছে অসীম বেদনা ।
গৌরব চোখ বন্ধ করে দাদুর কথা ভাবলো । দাদু বলতেন, “অশুভ আত্মাদেরও মুক্তির পথ আছে । তাদের কষ্টের গল্প শুনতে হবে, তাদের ক্ষোভ বুঝতে হবে ।”
গৌরব কাঁপতে কাঁপতে কথা বলল, “নিশি…তোমার গল্প আমরা জানি না । কিন্তু আমরা শুনতে চাই, জানতে চাই ।”
একটা গভীর নিস্তব্ধতা যেন ক্ষণিকের জন্য নেমে এলো । নিশির ছায়া স্থির হয়ে দাঁড়ালো । দেয়াল থেকে পড়া রক্তের ফোঁটা থেমে গেলো ।
“তোমরা শুনতে চাও?” আওয়াজটা এবার একটু নরম, কিন্তু তিক্ত । “সবাই ভয় পায় । সবাই পালায় । কেউ শোনে না আমার কথা ।”
গৌরব সাহস করে বলল, “আমরা শুনবো ।”
নিশি বলতে শুরু করল—কীভাবে সে এক সাধারণ মেয়ে ছিল আর তার কবিরাজ বাবার কাছে ভেষজ শিখতো । গ্রামে কলেরা মহামারীর সময় সে ও তার বাবা অনেককে বাঁচিয়েছিলো । কিন্তু এক প্রতিপক্ষ কবিরাজ ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে ডাইনী আখ্যা দিলো । এক রাতে, মিথ্যা মামলায়, তাকে বেঁধে গ্রামের কয়েকজন শুকনো কাঠের ওপর দাঁড় করিয়ে আগুন দিলো । সে চিৎকার করে বলেছিল, সে নির্দোষ, কিন্তু কেউ শোনেনি তার কথা । মরার আগে সে শপথ নিয়েছিল—তার আত্মা এই গ্রাম ছাড়বে না, কাউকে ছাড়বে না, শিশুদের সে ভয় দেখাবে, যেমন তাকে ভয় দেখানো হয়েছিলো ।
গল্প শেষ করার পরে নিশিকে যেন আরও বিষণ্ণ দেখালো । তার পোড়া কাপড় থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিলো ।
গৌরব বলল, “তাদের অন্যায় হয়েছে, নিশি । তোমার উপর অন্যায় হয়েছে । কিন্তু তুমি যে শিশুদের আটকাচ্ছ, তারা তো তোমার কিছু করে নি ।”
“আমি একা !” নিশি হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো, আর সবকিছু যেন কেঁপে উঠলো । “আমি চাই কেউ আমার সাথে থাকুক ! তোমরা সবাই এখানে থাকবে । আমার সঙ্গে ।”
বাতাস আবার প্রবল বেগে বইতে লাগলো । নিশির চোখের গর্ত থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে যেন গৌরব আর তার বন্ধুদের গ্রাস করতে আসছিলো । তারা দমবন্ধ অনুভব করতে লাগল ।
মুক্তির মন্ত্রমালা
তখনই, গৌরবের চোখ পড়ল মেঝের এক কোণে । সিন্দুকের পাশে, একটা ফাটলে, সোনালি রঙের একটা কাগজের কোণ দেখা যাচ্ছিল । সে হামাগুড়ি দিয়ে গেলো, হাত ঢুকিয়ে টান দিলো । বেরিয়ে এল একটা পুরনো, হাতে লেখা বই—“মুক্তির মন্ত্রমালা” !
নিশি রেগে গর্জে উঠল, “ওটা রেখে দাও ! ওটা আমার বাবার বই ! আমার মৃত্যুর পর বাবা ছাড়া আমার কাছে কেউ আসতো না । ওটা আমার শেষ স্মৃতি !”
কিন্তু গৌরব বইটা খুললো । শেষ পাতায় লেখা ছিলো— “যে আত্মা ক্রোধে আটকে, তাকে শান্তির পথ দেখাতে এই মন্ত্র । কোমল হৃদয়ে অনেকে একসঙ্গে পড়তে হবে।”
গৌরব তড়িঘড়ি বন্ধুদের ডাকলো, “ আয়, আমরা একসাথে পড়ি ! কিন্তু রাগ নয়, দুঃখ নিয়ে পড়তে হবে !”
তারা চারজন ঘিরে বসলো, বইয়ের পাতাটি টর্চের আলোয় ধরলো । নিশি তাদের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে আসছিলো, তার নখ লম্বা হয়ে বের হচ্ছিলো । তাদের ঘিরে যেন এক ধোঁয়ার ঝড় বইছিলো । কিন্তু আছড়ে পড়ছিলো না । তারা পড়তে শুরু করলো, ভয়ে নয়, বরং এক গভীর করুণা নিয়ে :
“তোমার ব্যথা আমরা জানি / তোমার ক্রোধ আমরা মানি ।
মুক্তির পথ খোলা আছে / যেখানে আলো, ভালোবাসা আছে ।
তোমার আত্মা হোক মুক্ত / এই বন্ধন হোক ধ্বংস ।”
প্রথমে কিছুই হলো না । নিশি যেন আরও কাছে আসতে লাগলো । কিন্তু তারা পড়তে থাকলো, আবার, আরও একবার । তাদের কণ্ঠে ভয় নয়, ছিল এক ধরনের মায়া ।
তৃতীয়বার পড়ার সময়, বই থেকে একটা উজ্জ্বল, সাদা গরম আলোর স্রোত বেরিয়ে নিশির দিকে গেলো । সে চিৎকার করলো, কিন্তু এবার সেই চিৎকারে বেদনা ছিলো, রাগ নয় । ধীরে ধীরে আলো তাকে জড়িয়ে নিলো, তার পোড়া কাপড় সাদা হয়ে গেলো, তার মুখের বিকৃতি মিলিয়ে গেলো । এক সুন্দরী তরুণীর মুখ দেখা গেল কয়েক মুহূর্তের জন্য । সে হাসল—একটা করুণ, কিন্তু সুখী হাসি ।
“ধন্যবাদ… অনেক ধন্যবাদ তোমাদের.. এখন আমি মুক্ত…” মৃদু কণ্ঠ বাতাসে ভাসতে ভাসতে মিলিয়ে গেলো ।
আলো উজ্জ্বল হয়ে, তারপর মিলিয়ে গেলো । সঙ্গে সঙ্গে ঘরের সব দরজা-জানালা আপনা আপনি খুলে গেলো । জমাট বরফের মতো ঠাণ্ডা উধাও হয়ে গরম বাতাস ঢুকলো । দেয়ালের রক্তের দাগ মিলিয়ে গেলো । ঘরে শুধু পড়ে রইলো একটি পুরনো বই আর অসীম শূন্যতা ।
বাইরে সকাল হয়ে গিয়েছিলো । পাখির ডাক ভেসে আসছিলো । তারা চারজন ধীরে ধীরে নীচে নেমে এলো, ক্লান্ত কিন্তু স্বস্তিতে ভরা চেহারা নিয়ে ।
মুক্তির ঘর
গ্রামবাসীরা যখন তাদের কাহিনী শুনলো, প্রথমে তারা কিছুতেই বিশ্বাস করলো না । কিন্তু সেই বাড়িতে গিয়ে তারা দেখলো, সেই ভয়াবহ শীতল অনুভূতি আর নেই । বাড়িটা এখন শুধুই একটি পরিত্যক্ত ভবন ।
গৌরব বুঝতে পারলো, সব আত্মাই খারাপ নয় । কিছু আত্মা শুধু শোনার অপেক্ষায় থাকে । কিছু আত্মার মুক্তি চাইতে হয় মন্ত্রে নয়, সহানুভূতিতে ।
সেইদিন থেকে বাড়িটাকে “নিশির বাড়ি” না বলে “মুক্তির ঘর” বলা শুরু হলো । গৌরব আর তার বন্ধুরা গ্রামের বীর হয়ে গেলো, কিন্তু তারা জানতো, সত্যিকারের বীর ছিল নিশি— যে মৃত্যুর পরেও এত বছর যন্ত্রণা বহন করেও শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেতে চেয়েছিলো ।
আরো ভূতের গল্প পড়তে ক্লিক করুন - "বাংলা ভূতের গল্প"
গল্প পড়ে ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, চেনা-পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করবেন । "গল্পর ঝুলি" পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আর এখনও শ্যামলপুরের কেউ কেউ বলে, তারা নাকি দেখতে পায়, পূর্ণিমার রাতে বাড়িটায় আর নীল আলোর ঝিলিক দেখা যায় না, বরং সেখানে একটি মৃদু সাদা আলো জ্বলে, যেন কেউ সেখানে চিরশান্তিতে-চিরসুখে ঘুমাচ্ছে ।

0 মন্তব্যসমূহ